শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ভূতিয়ার বিলে পদ্মফুল দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসছেন। দিন যাচ্ছে আর পর্যটকদের ভিড়ে বিনোদনপ্রেমীদের প্রিয় স্পট হিসেবে রূপ নিচ্ছে ভূতিয়ার বিল। তাতে দর্শনার্থীদের মন ভরলেও এলাকাবাসীর পেট ভরছে না।
‘পদ্মফুলে কি আর পেট ভরে। বিলে আমরা ধান চাষ করতে চাই। দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসন চাই। আগের মতো সোনালী ফসলে মাঠ ভরা দেখতে চাই’।
খুলনার তেরখাদা উপজেলার ভূতিয়ার বিল নিয়ে এমন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন স্থানীয় পাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল কুমার মরু।
আটলিয়া গ্রামের সবুজ কুমার রায় বলেন, ১৮/২০ বছর আগে এ বিলে ইরি, বোরো, আউশ, আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হতো। এখন কিছুই হয় না। সবাই আশা করছিলো নদী খনন হলে আবার ভূতিয়ার বিলে ধান হবে। কিন্তু নদী খননের কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় সে আশাও ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার প্রবীণরা জানান, খুলনার তেরখাদা উপজেলা ও নড়াইল জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ভূতিয়ার বিলটির সৃষ্টি। ২০০৩ সাল থেকে বিলের ২০ হাজার একর জমি স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। ফসল উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বিলের ওপর নির্ভরশীল মানুষজন।
২০১১ সালে খুলনার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিলের জলাবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) থেকে ২০১৩ সালে একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। যার লক্ষ্য হলো, ভূতিয়ার বিলের স্থায়ী জলবদ্ধতার অবসান। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ৪৩ হাজার হেক্টর কৃষিজমি পুনরুদ্ধার করা। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।
জলাবদ্ধতার কারণে বিলে পানি জমে পদ্মফুল ফুটে আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে পর্যটক ভিড় করছেন বিল এলাকায়।
Leave a Reply